রহমত নিউজ ডেস্ক 04 April, 2023 02:55 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে। দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে। আর সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার ও বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক কিছু আশা করা যায় না।
আজ (৪ এপ্রিল) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন’ বাতিল, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, বাসির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দুদু বলেন, অন্ধকার যুগ মনে হয় ফিরে এসেছে, গত ১০ থেকে ১৫ বছর দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মতিউর রহমানের ওপর প্রথম আক্রমণ আসেনি। মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক শফিক রেহমানের ওপর আক্রমণ এসেছে। তিনি এমন আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে বৃদ্ধ বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে হয়েছে। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা, দিনকাল, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম দেখলে সেই বাকশালের কথা মনে পড়ে যায়। যখন চারটি পত্রিকা রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এক নেতার এক দেশ করা হয়েছিল। সে ছাড়া আর কেউ নেতা হতে পারবে না। আর কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না, দেশে কোনো সংবাদ মাধ্যম থাকবে না। সেই অন্ধকার যুগ যেন আবার ফিরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে ডিজিটাল আইন বাতিল করুন। আর আমাদের গণতান্ত্রিক সরকার ও আইনমন্ত্রী বলেছে এটা বাতিল করার প্রয়োজন নেই। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। কাজ নেই, চাকরি নেই। আর এ কথা মানুষ বলতে পারবে না। বললেও সাংবাদিকরা লিখতে পারবেন না। কি ভয়ংকর ব্যাপার। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ যেসব সাংবাদিক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ডিজিটাল আইনের এ টু জেড বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়া। চারটি বছর তাকে জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৬ থেকে ১৭ বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।